সেনাবাহিনীর সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে এমন এক ডজনেরও বেশি চীনা প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানে মার্কিন নাগরিকদের বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
দোসরা অগাস্ট থেকে নতুন এই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হবে। কমিউনিকেশন জায়ান্ট হুয়াওয়ে সহ মোট ৫৯টি প্রতিষ্ঠান এই আদেশের আওতাধীন থাকবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা আদেশের সম্প্রসারণ এটি। নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগেই চীনের কর্তৃপক্ষ ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ নেবে। এর আগের আদেশ অনুযায়ী, ৩১টি চীনা প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল মার্কিন নাগরিকদের।
হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, “পরিকল্পনামাফিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে যেন নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সর্বোচ্চ প্রভাব পড়ে এবং বিশ্ব বাজার সর্বনিম্ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।” হুয়াওয়ে সম্প্রতি জানিয়েছে যে, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিষ্ঠানটির মোবাইল ফোন ব্যবসা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “সামনের মাসগুলোতে নতুন এই নির্বাহী আদেশের তালিকায় আরো প্রতিষ্ঠানের নাম সংযুক্ত হবে বলে আমরা আশা করি।”
এমন সময় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো যখন জিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের ওপর নজরদারির বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা চলছে। চীন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আগ্রাসী এবং নিজেদের দেশের ভেতরে অত্যাচারী আচরণ করছে বলেও চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বাইডেন প্রশাসন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়্যাং ওয়েনবিন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে নতুন করে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে তারা। তিনি বলেন, “চীনের প্রতিষ্ঠানের অধিকার আদায় এবং বৈধ স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে এবং আইন অনুযায়ী তাদের সহায়তার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে চীন।” চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক শুধু দুই দেশের জন্যই নয়, বাকি বিশ্বের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।