ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে নতুন করে আরও ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এদিকে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কের ফুলগাজীর ঘনিয়ামোড়া এলাকায় আধা কিলোমিটার অংশ এক ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে সাময়িকভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল রোববার রাতে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে পুরোনো দুটি ভাঙনস্থান ছাড়াও জয়পুর গ্রামের বাঁধের আরও একটি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এখন এই তিনটি স্থান দিয়ে প্রবল বেগে গ্রামগুলোতে পানি ঢুকছে। এতে এখন পর্যন্ত ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর, পশ্চিম ঘনিয়ামোড়া, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া ও কিসমত ঘনিয়ামোড়া, দক্ষিণ দৌলতপুর ও উত্তর দৌলতপুর প্লাবিত হয়েছে। এর আগে গত ২৫ আগস্ট দুটি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞাপন
পাউবো জানায়, আজ সোমবার সকালে মুহুরী নদীতে পানি বিপৎসীমার ১ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার সন্ধ্যায় পানি বিপৎসীমার দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। তবে উজানে আর বৃষ্টি না হলে পানি আবার ধীরে ধীরে নেমে যাবে বলে মনে করছেন পাউবো কর্মকর্তারা।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম বলেন, কিছুদিন পরপরই এভাবে গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে মানুষ ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মজবুত করে বাঁধ নির্মাণ ছাড়া সমস্যা সমাধানের কোনো বিকল্প নেই। ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, তিনি রাতেই ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কের পানিতে তলিয়ে যাওয়া স্থান পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা লুৎফুল হায়দার ভূঁঞা বলেন, গ্রামগুলো প্লাবিত হওয়ায় সদ্য রোপণ করা আমন রোপা ও সবজির খেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি না নামা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো সম্ভব নয়। জেলা পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, উজানে আর বৃষ্টি না হলে এবং পাহাড়ি ঢলের পানির চাপ না থাকলে দ্রুতই পানি সরে গিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ছোট ভাঙনের স্থানগুলো মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে।