রবি. ডিসে. 22nd, 2024

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পদ্মাকান্দা গ্রামের জলাবদ্ধ জমি থেকে ১১ মাস আগে উদ্ধার হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশটি মেহেদী মাতুব্বরের (১৭) বলে তারা নিশ্চিত হয়েছে। এর আগে পুলিশ তাঁর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছিল।

এদিকে, গত বুধবার এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মেহেদীর বাবা আরব আলী মাতুব্বরকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরব আলীর বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদি গ্রামে। সিআইডি গোপালগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে সিআইডির একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরব আলী মাতুব্বরের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করলে তিনি ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ সিআইডি উপপরিদর্শক (এসআই) মহতাব উদ্দিন বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরব আলী মাতুব্বরের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেই ছেলের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে প্রতিপক্ষের বাড়ির পাশে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

২০২০ সালের ১১ অক্টোবর সকাল নয়টার দিকে মুকসুদপুরের পদ্মাকান্দা গ্রামের জলাবদ্ধ জমি থেকে সিন্ধিয়াঘাট ফাঁড়ির পুলিশ মেহেদী মাতুব্বরের হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। ওই দিন পুলিশ বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে সিআইডি মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে।

By Anna