শুক্র. মার্চ 29th, 2024

১ অক্টোবর থেকে দেশে বিজ্ঞাপনসহ কোনো বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার করা যাবে না, সরকার এমন নির্দেশনা আগেই দিয়েছিল। এর ছয় মাস আগে এপ্রিলে একবার সরকার এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা পিছিয়ে ১ অক্টোবর করা হয়।

এবার সরকার ছিল কঠোর অবস্থানে। ফলে এই দিন থেকেই বাংলাদেশ থেকে কোনো বিদেশে চ্যানেল দেখা যাচ্ছে না। কেবল অপারেটর, ডিটিএইচ সংযোগের মাধ্যমে বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। সরকার বলছে যাদের মাধ্যমে দর্শক বিদেশি চ্যানেল দেখতে পাচ্ছেন, তারাই ওই বিদেশি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপন ছাড়া সম্প্রচার করবে। বিজ্ঞাপন ছাড়া বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সরকারের কিছু করার নেই।

বিজ্ঞাপন
সরকারের নির্দেশনা যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া ঘোষণাও আগেই ছিল। গতকাল শুক্রবার থেকে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ফলে গতকাল শুক্রবার দিনের শুরুতে প্রথমে কেবল অপারেটরেরা, রাতে ডিটিএইচ সংযোগ প্রদানকারীরা সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। ফলে বিপাকে পড়েছেন দর্শকেরা। তারা এখন বাংলাদেশি টেলিভিশন ছাড়া বিদেশি কোনো চ্যানেল দেখতে পাচ্ছেন না। বিনোদনভিত্তিক, শিক্ষামূলক বা সংবাদভিত্তিক সব ধরনের বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে আছে।

সবার জানার আগ্রহ এর সমাধান কোথায়? বিদেশি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপনমুক্ত কে করবে? সরকার বলছে তাদের করণীয় কিছু নেই। বিজ্ঞাপনসহ চ্যানেলের সম্প্রচার দেশের জন্য ক্ষতির কারণ হচ্ছে। অন্যদিকে কেবল অপারেটরেরা বলছেন, বিজ্ঞাপন ছাড়া (ক্লিন ফিড) চ্যানেলের সম্প্রচার করা তাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
ক্লিন ফিডের মানে হচ্ছে অনুষ্ঠানের ফাঁকে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশে যেসব বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার হয়, সেগুলোতে কমবেশি বিজ্ঞাপন থাকে। ফলে বিদেশি সব চ্যানেলের সম্প্রচার গতকাল থেকে আজ শনিবার এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে। কেবল অপারেটরেরা বলছেন, মোটা দাগে ৬৫-৭০টি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ আছে। বিজ্ঞাপন দেখায় না এমন চ্যানেল আছে বলে তাদের জানা নেই।

By Anna